সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

করোনার দূর্গা

আজকে বিজয়া দশমী।  আর কিছুক্ষন বাদেই আমাদের  ঠাকুর বিসর্জন হবে।  অথচ আমার মধ্যে কোনো উত্তেজনা নেই।  এ বড় অদ্ভুত এক পুজো দেখলাম। করোনা পরবর্তী জগৎ কেমন হবে জানা নেই, তবে অনেক কিছুই উল্টে পাল্টে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।  'কেবল' টিভি আসার পর যেমন জীবন বদলে গেলো সবার। এখনকার নিরিখে কি সামান্য এক ব্যাপার, অথচ আমাদের মধ্যে উত্তেজনা প্রবল।  ইস্কুলের ক্লাসে বসে আমরা একে অপরকে টেক্কা দিয়ে গুল মারতাম।  কোন্নগর এ কেবল আসেনি, কিন্তু গয়া তে আমার মামার বাড়িতে কেবল টিভি। সেখানে নাকি মাঝে মধ্যেই মাইকেল জ্যাকসনের নাচ দেখা যায়।  আমিও নাকি মামার বাড়ি গেলেই সারাদিন খালি জ্যাকসনের নাচ দেখি।   এবার পুজোটা অনেকটাই ম্রিয়মান। লোকের কাছে টাকা নেই, রোগাক্রান্ত হবার ভয়। অথচ কোথায় যেন বাঙালি বেশ অকুতোভয়।  সেটা পরিণতি অনুধাবন করার ক্ষমতা নেই বলে, নাকি বাঙালি অদৃষ্টবাদী সেটা বিশেষ বোঝা যায় না।  এমন হতে পারে, এখানে বোধয় করোনা সত্যি তেমন একটা কিছু ক...

এইবারের ফিজিক্স নোবেল

এইবারের ফিজিক্স এ নোবেল আমাকে মনে মনে খুশি করেছে।  ফিজিক্স এর কিছুই বুঝি না, তবে এখন বিজ্ঞানভিত্তিক অনেক ভালো ভালো ডকুমেন্টারী বানানো হয় ইউটুবে বা  অন্যান্য মাধ্যমে।  সেগুলো দেখে মহাকাশ সম্বন্ধে অনেক কিছুই জানা যায়।  আন্দ্রেয়া গেজ তো রীতিমত  মহাকাশের সব ডকুমেন্টারিগুলোতে নিয়মিত দেখা দেন।  রেইনহার্ড গেনজিল কে বোধয় দেখিনি এখনো, উনি  জার্মান , খুব বেশি ইংরেজি ডকুমেন্টারিতে আসেন না মনে হয়।  তবে উনি বোধ হয় আন্দ্রেয়ার সহকর্মী, একই বিষয়ে তারা নোবেল পুরস্কারটি ভাগ করে নিয়েছেন।  আমাদের গ্যালাক্সির মাঝখানে যে এক অতিকায় কৃষ্ণগহ্বর আছে, এটাই ওনারা আবিষ্কার করেছেন।   রজার পেনরোস সম্বন্ধে আমার পড়াশোনাটা প্রায় নেই বললেই চলে।  উনি এবারের নোবেলের অর্ধেকটা একাই নিয়েছেন।  আসলে ওনার কাজটা পুরোপুরি অঙ্কভিত্তিক, সেটা বোধয় মহাকাশ ডকুমেন্টারিগুলোতে দেখানো মুশকিল। বরঞ্চ এইটা বলা যায় যে, ওনার কাজটার ভিত্তিতেই আজকের সব ডকুমেন্টারী তৈরী হয়।  ...

সব বদলে যাবে

করোনা ভাইরাস পরবর্তী জীবন কেমন হবে জানা নেই, তবে মনে হয় না তড়িঘড়ি খুব একটা ফের বদল কিছু ঘটবে। মানুষ আবার বাজার দোকানে ভিড় করবে, লোকেরা আবার তাদের বড়  বড়  গাড়ি নিয়ে রাস্তা দখল করে চলবে। মানুষ আবার লাখে লাখে ডিজেল গাড়ী কিনবে। হওয়াতে বিষের পরিমান আবার বাড়বে। অনেকেই হয়তো বলবেন সাধারণ মানুষের দোষ কোথায়, সরকার থেকেই তো যথেষ্ট পরিবেশ সচেতনতা দেখানো হয়নি। একটা দেশের সরকার যা করে, নাগরিক তার পালন করে, এটাই নিয়ম। তাহলে তর্ক উঠতেই পারে যে সরকার কি ভিন্ন একটি প্রাণী, তাদেরকে তো মানুষই নিয়ে এসেছে, কাজেই তারা মানুষের থেকে আলাদা ভাববে কি করে।  আমার ব্যক্তিগত অভিমত, মানুষ যতক্ষণ না নিজে বদলায়, ততক্ষন কোনো সরকার বদলাতে পারে না। সেটা বিদেশে গিয়ে আমার দিব্বি উপলব্ধি হয়েছে। পাশ্চাত্যে সরকার এমনি এমনি নিজের মানুষদের নিয়ে এতো চিন্তিত নয়, তার বড় একটা কারণ মানুষ সেখানে জীবন নিয়ে আশাবাদী, এবং নিজের জীবনটাকে কি করে আরো  সুন্দর,আরো সচ্ছল এবং সহজ করা যায়, তা নিয়ে রীতিমতো ভাবনা চিন্তা করে।  ব্যক্তি ...

বেশি ভাবিয়া লাভ নাই

অনেক চেষ্টা করে দেখলাম, আমি বড়দের খুব একটা বুঝতে পারিনা। তাই ভাবছি বোঝার চেষ্টাও করবো না। আমার লেখাটা অনেকদিন ধরে আটকে আছে, তার একটাই কারণ, আমি এক নারী চরিত্র নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছিলাম, পারলাম না, আটকে গেলাম।  বরঞ্চ যতক্ষণ পিকলুর পিঠে চেপে চলছিলাম, ততক্ষন দিব্বি চলছিল ব্যাপারটা। প্রায় মাসখানেকের ওপর আটকে বুঝতে পেরেছি আমাকে সবকিছুই বলতে হবে, কিন্তু একটা ছোট ছেলের চোখ থেকে। অন্যকে বেশি বুঝে লাভ নেই, খালি নিজের অনুভুতিটা লিখতে পারলেই অনেক কিছু করা হয়ে যেতে পারে। আমাকে একবার ইয়ান বলেছিলেন পার্সোনাল ইস ইউনিভার্সাল।  আমি সেটাই মেনে চলবো এবার থেকে।   যাক, একটা চিন্তা কমলো, এবার বোধয় আবার এগোনো যাবে।  

ছুটি ছুটি ছুটি

আজকে একটা নতুন কথা শিখলাম। ছুটি। এমন একটা দিন যেদিন দাঁত মেজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তে হয়, দিকবিদিক না দেখে, বাড়ির কোনো দায়িত্ব পালন না করে।  যেদিকে দু চোখ যায়, ধেই ধেই নাচা যায়, এমন একটা দিন হলো ছুটি।  সত্যি বলতে কি,  জন্মে শুনিনি এমন কথা।  এখন শুনতে হচ্ছে বৌয়ের কাছে। আমি রোজ কাজে যাই, অনেক বাইরে বেরোবার জায়গা, প্রচুর বন্ধুবান্ধবদের সাথে মেলামেশা যায়, আড্ডা ঠাট্টা হয়, ভারী মজা করি, একটু আধটু কাজের নামে প্রহসন করার ফাঁকে।  আরে  ভাই, কাজটাও তো ছুটিরই অঙ্গ।  কিন্তু আমার বৌ বেচারি সারাদিন ঘরের কাজ করে করে, এই জেলখানায় বন্দি থেকে দিনে দিনে মারা যাচ্ছে।  কাজেই তার ছুটি চাই।  রোববার করে তাই সে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত মেজে বেরিয়ে পরবে তার ছুটির মজা লুটতে। আমি সেদিন তার ঘরের সব কাজ করে দেব, বিছানা তোলা থেকে রান্না করে বাসন মজা সব।  একদিন নাহয় আমায় কাজ করতে হবে, বাকি ছয়দিন তো আমার ছুটি ছুটি ছুটি।  কি মজা না! বিয়ে করলে কত কিছুই না জানা যায়।  সাধে কি আর মুনী ঋষিরা বলে গেছেন, নিজেকে যদি তিস মার্ খান ভেবে থাকো, তাহলে বৌয়ের ফিডব্যাক টা ন...

ভান

প্রতি সপ্তাহে একটা মজার ব্যাপার হয় আমাদের অফিসে। সব রিপোর্টাররা পরের সপ্তাহে কি সংবাদ লিখবে, সেটা নিয়ে বসেদের সাথে প্রচুর আলোচনা করে। এক এক জন রিপোর্টারের কাহিনী নিয়ে বাকি রিপোর্টাররা প্রভূত তর্কবিতর্ক করে। জ্ঞানের আদানপ্রদান হয়। প্রতিটি পয়েন্ট সুন্দর হস্তাক্ষরে, দামি ডায়েরিতে লিখে রাখা হয়।  তারপর সেগুলোকে টাইপ করে, দিল্লিতে প্রধান সম্পাদককে পাঠিয়ে সেগুলো নিয়ে আরেক দফা চিন্তন মনন বৈঠক হয়।  তার পরের দিন, শনিবার, ঘর থেকে কাজ। রোববার পেরিয়ে সোমবার আসতে আসতে আমরা সবাই বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ি, প্রচুর ঘোরাঘুরি থাকে তো সমুদ্রের ধারে বা পাহাড় চুড়ায়। তেল কৈ, বা রেয়াজি মাটন টাও হজম করা কি কম ঝক্কির ব্যাপার।  সোম, মঙ্গল, বুধ ... বিস্সুদ অবধি আসতে আসতে মন এবং মাথাটা কচলানো লেবুর মতো বিস্বাদ হয়ে যায়। শুক্কুরবার সকাল থেকে দিমাগকে বেশ কষ্ট দিতে হয়, অনেক পিঁয়াজি ভাজতে হয় মিটিংয়ে কি বলতে হবে সেটা ভাবার জন্য। পরের সপ্তাহের লিস্টে তো আর মমতাদির 'ক্যা ক্যা ছি ছি' দেয়া যায় না।  বেলা একটা বাজতেই আরেক রাউন্ড হৈ হট্টগোল। আমাদের সাহেব খুশি, তার সাহেবও খুশি হবে। খুশি খুশি সপ্তাহান্ত...