সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এইবারের ফিজিক্স নোবেল

এইবারের ফিজিক্স এ নোবেল আমাকে মনে মনে খুশি করেছে।  ফিজিক্স এর কিছুই বুঝি না, তবে এখন বিজ্ঞানভিত্তিক অনেক ভালো ভালো ডকুমেন্টারী বানানো হয় ইউটুবে বা  অন্যান্য মাধ্যমে।  সেগুলো দেখে মহাকাশ সম্বন্ধে অনেক কিছুই জানা যায়।  আন্দ্রেয়া গেজ তো রীতিমত  মহাকাশের সব ডকুমেন্টারিগুলোতে নিয়মিত দেখা দেন।  রেইনহার্ড গেনজিল কে বোধয় দেখিনি এখনো, উনি  জার্মান , খুব বেশি ইংরেজি ডকুমেন্টারিতে আসেন না মনে হয়।  তবে উনি বোধ হয় আন্দ্রেয়ার সহকর্মী, একই বিষয়ে তারা নোবেল পুরস্কারটি ভাগ করে নিয়েছেন।  আমাদের গ্যালাক্সির মাঝখানে যে এক অতিকায় কৃষ্ণগহ্বর আছে, এটাই ওনারা আবিষ্কার করেছেন।  


রজার পেনরোস সম্বন্ধে আমার পড়াশোনাটা প্রায় নেই বললেই চলে।  উনি এবারের নোবেলের অর্ধেকটা একাই নিয়েছেন।  আসলে ওনার কাজটা পুরোপুরি অঙ্কভিত্তিক, সেটা বোধয় মহাকাশ ডকুমেন্টারিগুলোতে দেখানো মুশকিল। বরঞ্চ এইটা বলা যায় যে, ওনার কাজটার ভিত্তিতেই আজকের সব ডকুমেন্টারী তৈরী হয়।  পেনরোস আর স্টিফেন হকিং এর কাজটাই ছিল কৃষ্ণগহ্বর যে আছে, সেটা গাণিতিক ভাবে প্রমান করা।  গেজ এবং গেনজিল সেটা চাক্ষুষ প্রমান করেছেন।  

না, ব্ল্যাকহোল চোখে দেখা যায় না, তবে, তার আশেপাশের তারাদের অশান্ত চলনচালন দেখে আন্দাজ করে নিতে হয় যে নিশ্চই মাঝখানে কিছু এমন আছে, যা এই তারাগুলোকে জোর করে নিজের দিকে টানছে, অথচ তারাগুলি সেখান থেকে আপ্রাণ পালাবার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। এইভাবে ওই কৃষ্ণগহ্বরের সাথে লড়তে লড়তে একদিন ক্লান্ত হয়ে তারাগুলি চিরঅন্ধকারে তলিয়ে যেতে থাকবে।  কিন্তু তারপর কি? শ্বেতগহ্বর বা হোয়াইট হোল বলে কিছুর একটা কথা শোনা যাচ্ছে, সেটার কতটা অঙ্ক হয়েছে জানিনা, তবে হয়তো একদিন আবিষ্কার হবে এরকম কিছু।  একটা নোবেল তো পাবেই সেটা।
  
আরেকটা ব্যাপারে আনন্দ হয়েছে, আমার মেসিয়ার ১১ গল্পটি এই নোবেল পুরস্কার ঘোষণার কিছুদিন আগেই শেষ করে ব্লগ এ তুলে দিয়েছি। কল্পবিশ্ব ম্যাগাজিনে পাঠিয়েছি, তবে কোনো জবাব আসেনি। আশাও করছি না।  লেখাটা ঠিক সিরিয়াস কল্পবিজ্ঞান নয়, ওটা কিশোর সাহিত্য, বাবু আর মিঠির জন্য লেখা। বড় হয়ে পড়বে কোনোদিন। আমার লেখা প্রতিদিন আমার কাগজে বেরোচ্ছে, তাই নিজের নাম ছাপার অক্ষরে কেমন  লাগে, সেটা দেখার মোহ আমার কেটে গেছে বহু বছর।   

(আপডেট: গল্পটি আপাতত ড্রাফট মোডে করে রাখতে হচ্ছে।  কল্পবিশ্ব পত্রিকার জবাব পেয়ে যা করার করব।)

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

তোমাদের জন্য মেমসাহেব, সাহেব।

ইংরেজিতে লিখব না বাংলা? এই ভাবতে ভাবতেই আমার সময় কেটে গেল, লেখা আর হয়ে উঠল না। কোন কিছু শুরু করার আগে উদ্দেশ্যটা ঠিক হওয়া জরুরি। আমার প্রস্তুতি ঠিক ছিল না।  এখন ভাবছি লেখাটা জরুরি, ভাষাটা নয়। আমি যেহেতু দুটো ভাষা জানি, আমি দুটোতেই লিখব। যেটা বাংলায় লিখলে ভাল হয়, সেটা বাংলায় লিখব, যেটা ইংরেজিতে স্বাভাবিক, সেটা ইংরেজিতে লিখব। বাংলায় লিখতে পারলে সব থেকে ভাল হয়, সেটাই আমার মাতৃভাষা, কিন্তু ইংরেজি সহজতর। সেটা হয়ত আমার দুই দশকের ইংরেজি লিখে কাজ করার ফল।  আমি দুটি ভাষাতেই সাহিত্যমানের লেখা লিখতে পারব না। কিন্তু লিখতে ভালবাসি। সব  শেষে একটি ইবুক বানিয়ে আমাজনে বা গুগুলে ছেড়ে দেবো। সেটা অবশ্য এই চাকরিটা ছাড়ার পরেই সম্ভব। যখন সময় আসবে, তখন আমার লেখাগুলি এই বিশাল আন্তরজালে ঠাই পাবে। তার আগে লেখাগুলি তৈরি করা দরকার। কেউ পড়বে না হয়ত, কিন্তু আমার কন্যা শ্রাবস্তি আর ভাগ্নে প্রভেক পড়লেই যথেষ্ট। আমি যখন থাকব না, এই লেখাগুলি হয়ত ওদের একটু শান্তি দেবে। অমরত্বের ইচ্ছে আমার নেই, তবে সময়ের গণ্ডি পেরিয়ে কথা বলতে পারার লোভ সংবরণ করা কঠিন।  হয়ত এই হাবিজাবি লেখাগুলি ভবিষ্যতের প্রজন্মের কেউ পড়ব...

বাংলা ও বাঙালি

বাংলায় লিখবো কি লিখবো না, পারব কিনা, এসব ভাবতে ভাবতে ইংরেজিতে লেখা শুরু করলাম। তখনই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে গেল।  শ্রী নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী মহাশয়ের ইউটিউব চ্যানেলে বাঙালি ও বাংলা ভাষার সংকট নিয়ে একটি লেকচার শুনলাম। কত মানুষের সাধনা ও সংগ্রামের ফল আমাদের এই বাংলা ভাষা। আমার মনে একটি দ্বন্দ্ব চলে আসছিল, আমার ভাষা বোধকরি সাহিত্য-উপযোগী নয়। তাহলে সাহিত্য সৃষ্টি করব কী করে। ওনার বক্তৃতা শুনে বুঝলাম এটি আমার মনের অযথা বাধা, এতে কোনও সার নেই। এই স্বরোপিত বাধা শুধু মায়ার খেলা। কত মানুষের কত রকম বাংলা। আজ যে ভাষায় লিখছি বা কথা বলছি, সেটিই কি খাঁটি? আমি যে ভাষায় লিখব সেটিই আমার ভাষা। এত ভাববার কি আছে। তাই, আমার জানা ভাষাতেই আমি আমার মতো করে সাহিত্য রচনা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সবটাই হাতে লিখবো আগে। পরে টাইপ করে নেওয়া যাবে, যেমন এখন করছি। আর হ্যাঁ, নিজের ভাষায় লিখছি, নিজের সাথে কথা বলার মতো করেই। সেখানে তাড়াহুড়ো চলবে না। যখন ইচ্ছে হবে লিখব, ইচ্ছে না হলে লিখব না। তবে লেখা থামাবো না। লেখটা শুরু করেছিলাম একটি অদ্ভুত ব্যাপার ঘটেছে বলে। সেটায় আসা  যাক। ভাদুড়ী মশাই তার...

হাবিজাবি ১

আমার এ লেখা কারোর উদ্দেশ্যে নয়, মহান সাহিত্য সৃষ্টির প্রচেষ্টাও নয়, বাজে বইয়ের ভূমিকাও নয়। আমার এ লেখা শুধুমাত্র আমার জন্য। ছোটবেলায় যে পৃথিবীটাকে পেছনে ফেলে এসেছি, তাকে ছুঁয়ে দেখার প্রচেষ্টা মাত্র। আমার পৃথিবী সবুজ ছিল। কচি পাতার সবুজ, পায়ের নরম সবুজ, পুকুরের ঘন সবুজ।  সেই সবুজ এখন আর দেখতে পাই না। হয়ত এখনও সেরকমই সবুজ পৃথিবী, শুধু আমি বুঝি দেখার চোখ হারিয়েছি, মনের সবুজ কালো হয়ে গেছে। সেই কালো ঘষে  মেজে আবার সবুজ করা যায় না? দেখি চেষ্টা করে।  বাংলা ভাষায় লিখতে গেলে, যেকোনো ভাষাতেই লিখতে গেলে, সেটা  ভালো করে জানতে হয়। সেই ভাষায় অনেক পড়াশোনা করতে হয়। পড়াশোনা আর করা হয়না আগের মত। তাই ভাষার প্রতি দক্ষতাও হারিয়েছি। কিন্তু আমার কিছু বলার আছে, তা নিজের ভাষায় নিজের মতই বলব। আত্মম্ভিরতার সুযোগ নেই এখানে, আমার জীবনে প্রাপ্তি খুব বেশি নেই, বা হয়ত আছে অন্যদের তুলনায় বেশি, কিন্তু হরে দরে দেখতে গেলে সবি শূন্যের খাতায় সই। ঠিক যেমন আমার প্রথম চাকরিতে খাতায় সই করে পাকানো কাগজে মাস-মাইনে পাওয়া।  বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের সখ। ফারনান্দ পেশোয়ার সখ ছিল লেখা। এখন যত  অন্তর্ম...