আমার খুব বাংলা লিখতে ইচ্ছে হয়. কিন্তু আর লিখতে পারি না. বাংলা লেখার অভ্যাসটা একেবারেই চলে গেছে. খয়েরি সাহেব হয়ে গেছি এক রকমের. কিন্তু মাঝে মধ্যে আমি ভাবি, লেখা কি সুন্দর হওয়া দরকার? আমরা লিখি কেন? তোমাকে যদি আমি আমার মনের ভাব ব্যক্ত করতে পারি, তাহলে সেটাই কি যথেষ্ট নয়? বিদ্যাসাগর বাবু যখন বাংলা লেখা চালু করলেন তখন বাংলার কি অবস্থা ছিল. এখন তো বাংলাটা পদ্যের মত মনে হয়. আমি পদ্য লিখতে পারি না ভাই. আমায় তোমরা ক্ষমা করে দিও. আমার লেখা পরে যদি ভালো না লাগে, তাহলে চলে যেও দুটো গালি দিয়ে, আমি খারাপ পাব না. কিন্ত তবু তোমরা আমাকে পর করে দিও না. আমি চেষ্টা করছি লেখার, অন্ততঃ চেষ্টাটা করতে দাও.
ইংরেজিতে লিখব না বাংলা? এই ভাবতে ভাবতেই আমার সময় কেটে গেল, লেখা আর হয়ে উঠল না। কোন কিছু শুরু করার আগে উদ্দেশ্যটা ঠিক হওয়া জরুরি। আমার প্রস্তুতি ঠিক ছিল না। এখন ভাবছি লেখাটা জরুরি, ভাষাটা নয়। আমি যেহেতু দুটো ভাষা জানি, আমি দুটোতেই লিখব। যেটা বাংলায় লিখলে ভাল হয়, সেটা বাংলায় লিখব, যেটা ইংরেজিতে স্বাভাবিক, সেটা ইংরেজিতে লিখব। বাংলায় লিখতে পারলে সব থেকে ভাল হয়, সেটাই আমার মাতৃভাষা, কিন্তু ইংরেজি সহজতর। সেটা হয়ত আমার দুই দশকের ইংরেজি লিখে কাজ করার ফল। আমি দুটি ভাষাতেই সাহিত্যমানের লেখা লিখতে পারব না। কিন্তু লিখতে ভালবাসি। সব শেষে একটি ইবুক বানিয়ে আমাজনে বা গুগুলে ছেড়ে দেবো। সেটা অবশ্য এই চাকরিটা ছাড়ার পরেই সম্ভব। যখন সময় আসবে, তখন আমার লেখাগুলি এই বিশাল আন্তরজালে ঠাই পাবে। তার আগে লেখাগুলি তৈরি করা দরকার। কেউ পড়বে না হয়ত, কিন্তু আমার কন্যা শ্রাবস্তি আর ভাগ্নে প্রভেক পড়লেই যথেষ্ট। আমি যখন থাকব না, এই লেখাগুলি হয়ত ওদের একটু শান্তি দেবে। অমরত্বের ইচ্ছে আমার নেই, তবে সময়ের গণ্ডি পেরিয়ে কথা বলতে পারার লোভ সংবরণ করা কঠিন। হয়ত এই হাবিজাবি লেখাগুলি ভবিষ্যতের প্রজন্মের কেউ পড়ব...
মন্তব্যসমূহ