লিখিত শব্দ আসলে একটি শক্তির রূপ। এক একটি শব্দ এক একটি বিশেষ শক্তির প্রতিরূপ। তাই শব্দ চয়ন সঠিক হওয়া দরকার। নয়ত শক্তিগুলি পুঞ্জিভূত হবে না, তারা বিক্ষিপ্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়বে এদিক ওদিক। সেখানেই কবিদের কৃতিত্ব। কবিদের থেকে আর কেউ ভাল জানে না এক একটি শব্দের অভিনিহিত ক্ষমতা। গদ্য লেখকদের সে ক্ষমতা অনেকটাই কম, তবু, সাধারণ মানুষের থেকে অবশ্যই বেশি। তাই গদ্য লেখকদের অনেক মেহনত করে যেটা লিখতে হয়, কবিরা সেটা একটি বা দুটি ছোটো ছত্রে বুঝিয়ে দিতে পারে খুব সহজেই। লেখালেখি আসলে নিজের সাথে কথা বলা। তাই সেটা নিজের ভাষাতে হওয়াই কামনিয়। অন্যের ভাষা ধার করে বিখ্যাত হওয়া যায় হয়ত, ঠিক নিজের সাথে কথা বলা যায় না। আমার বাংলা চর্চা করা হয়নি তেমনভাবে বহুকাল। লেখালেখির চর্চাও একরকম ঘুচেই গেছে অর্থনীতিক সাংবাদিকতা করে। তেমন কিছু বলারও নেই। আমি নিজের জীবনে যা দেখেছি তার বেশি কল্পনা করতে পারি না। এককালে পারতাম, কিন্তু এখন অনেকটাই ভোঁতা হয়ে গেছি। তাই ভাবছি খালি নিজের জীবনের কথাই লিখব। একটা বই লিখেছি, কিন্তু সেটা আগাপাশতলা রিরাইট করতে হবে। সে অনেক হাঙ্গামা। কুঁড়েমি তো আছেই। তাছাড়া আছে "impostor syndrome"।...