মা ঘরে নিয়ে গিয়ে পিকলুকে একটা ফানেলের জামা আর হাফ হাত সোয়েটার পরিয়ে দিল। মা কে আজ একদম ভালো লাগছে না, কিন্তু সেটা বোঝাবার সাহস নেই। দিদিকে দলে পাওয়া যাবে না এসব ব্যাপারে। লড়াইটা তার একার। পিকলু আবার বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। অনেক মানুষই ক্ষুদিরামদের বাড়ির কোণে হারিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে নাক বরাবর গেলে বিলুদাদের ঘর। একটু এগিয়ে ঢাল বেয়ে নামলেই খাল। বারান্দা থেকে দেখা যাচ্ছে সামনের শিবমন্দিরের চাতালে কয়েকজন বন্ধু বসে। একবার ডেকে কথা বলতে ইচ্ছে করল, কিন্তু মা নিশ্চয় খুশি হবে না তাতে। ক্ষুদিকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না, সে নিশ্চয় ভোর থেকেই খালপাড়ে। পিকলুর বন্ধুদের যেখানে খুশি যেতে কোনো বাধা নেই, কেবল তার বেলাতেই সীমানা নির্দিষ্ট করে দেয়া। পিকলুর দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে দুঃখে। সে আজকে লুচি খাবে না। অংকের খাতায় কাটাকুটি খেলবে, ইস্কুলের বই মিকি মাউসের স্টিকার লাগিয়ে নষ্ট করে দেবে। মা চেষ্টা করেও তাকে বর্ণপরিচয় থেকে কঠিন বানান লেখাতে পারবে না। বাবা হাতের লেখা দিলে খুব তাড়াতাড়ি লিখে পাতা ভরিয়ে ফেলবে আজ। পিকলু মাথা গোঁজ করে ঠাকুমাদের ঘরের দিকে...