সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একদিন

একদিন হঠাৎ করে চলে যাবো জেনো শিশির যেমন মিলায় ভোর রাতে বাঁচবে তুমি নিজের মতন করে নতুন খেলায় উঠবে তখন মেতে ভাববে আগেই গেলাম না কেন যেদিন আঘাত পেয়ে নরম হবে মন তখন তুমি মূর্তি গড়ার এঁটেল মাটির জন আঘাত দিতে বাজবে তখন ব্যাথা সেদিন তুমি শুনবে তারার কথা আমার কণ্ঠ পাও যদি তার মাঝে চোখের কোণ জমবে উষ্ণ সাঁঝে জানবে সেদিন আঘাত পেয়েও হাসে কেন কেউ কেউ বার বার ভালোবাসে সেদিন তুমি খুঁজবে আমায় খুব বুকভরা অভিমানে নির্বাক নিশ্চুপ মনটা অচল সেই কথাটিই ভেবে কেই বা তোমার আঘাত খুঁজে নেবে সেদিন হালকা হাওয়ায় আলতো ছোবো নিজে জানি, আঘাত করেই ভালোবেসেছ যে 

গোধূলির মুহূর্তগুলো

আমার সাংবাদিকতার আর কটা দিন মাত্র বাকি। সমস্ত জায়গা থেকে সাংবাদিকদের চাকরি যাচ্ছে, খবরের কাগজের অবস্থা খুব শোচনীয়। এরকমটি ভাবি নি। ভেবেছিলাম, সাংবাদিকতা করেই জীবন কেটে যাবে। মাঝখানে এসে যে রাস্তা বদল করতে হবে, তা জানলে হয়তো .... অবশ্য কি বা আর করতাম, লেখা লেখি ছাড়া তো আর কিছুই জানি না। জানতে ইচ্ছেও জাগে নি কোনোদিন, জানার তাই চেষ্টাও করিনি। এখন যখন সংসারপাতি পেতে বসেছি, এই দিশাবদল অনেকটাই দিশেহারা করে দিচ্ছে। মাঝে মধ্যে এখন পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে। আমি চাকরি করতে চলে যাচ্ছি সুদূর শিলংয়ে, পীঠে একটা ক্যানভাসের বেডিং, মোটা চামড়ার বেল্ট দিয়ে বাঁধা। পেছনে গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে মা আর বোন। ছলছল চোখ তাদের। মা ভীষণ কেঁদেছে তার আগে, আমিও একটু কেঁদেছি। সেটা মাকে ছাড়ার দুঃখে, নাকি মাকে দেখিয়ে অভিনয়, নাকি নতুন জীবনের অনিশ্চয়তার ভয়ে, সেটা আজ আর ঠিক মনে নেই। শুধু মনে আছে, আমি পিছন ফিরে তাদের দিকে তাকাই নি। সাইকেল রিকশা আমায় নিয়ে মন্থর গতিতে গড়িয়ে চললো বড় শিবমন্দির পার করে কোননগর স্টেশনের দিকে। আমি ভেসে পড়লাম।  অনেক পরে এটা নিয়ে একটু অতিরঞ্জিত একটা কিছু লিখেছিলাম আমার ব্লগে। The bo...