সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছোটবেলার পরীরা

যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন দূরের ল্যাম্পোস্টের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকাটা আমাদের খুব প্রিয় এক এডভেঞ্চার ছিল। আমি আর আমার বোন গুড়ি সুড়ি মেরে রাত্রিবেলায় উঠে পর্দাটা সরিয়ে গাল ঠেকাতাম জানালার শীতল লোহার গ্রিলে।   বাবা মা অঘোরে ঘুমাতো, কিন্তু আমরা দুজন ঠিক উঠে পড়তাম কোনো এক অজানা কারনে। দূরের ল্যাম্পোস্টের আলোটা বোধয় আমাদের ভেতর এক এলার্ম ঘড়ি জাগিয়ে তুলতো।  নিজেদের খুদে শরীরগুলোকে জানালার লোহার গ্রিলের সাথে চিপকে দিয়ে, চোখের দৃষ্টিকে ছুড়তাম অনন্তের দিকে। ল্যাম্পোস্ট গুলো সকালে কেমন বিচ্ছিরি পাতাছাড়ানো তালগাছের মতো চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। রাত্রে সবাই ঘুমিয়ে গেলে হঠাৎ করে তারা যেন প্রাণ পায়। একে ওপরের সাথে তারা আলো ছুড়ে কথা বলে। আমরা চোখ টেনে চেষ্টা করতাম একদম শেষের পোস্টটা দেখার। জানতাম, বৃথা সে প্রচেষ্টা। তবু, মানুষদের পৃথিবীটা যেখানে শেষ হয় আর বেম্মদত্তি বা শাঁকচুন্নির দুনিয়া যেখান থেকে শুরু, সেই প্রায় ব্রজদাদের আমবাগান অবধি দৃষ্টি টেনে শেষে তন্ময় ভাবে তাকিয়ে থাকতাম মিটার সয়েক দূরের আমাদের সোজাসোজি আলোটার দিকে। তার পাশেই বাঁশবাগান, তারপ রাস্তাটা বেঁকে বাম দিকে রওনা দিয়েছে। জো...